ঢাকাঃ পর পর ২ কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় সংসার ভেঙে গেছে দুর্গাপুর উপজেলার চকলেঙ্গুরা গ্রামের গরিব কৃষক মো. আবদুল মজিদের মেয়ে মোছা. মাহমুদা আক্তারের (২০)। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান ইউএনও ফারজানা খানম।
জানা গেছে, মাহমুদার সঙ্গে গৌরীপুর উপজেলার পাঁচাশি গ্রামের মো. আবুল কালাম মণ্ডলের ছেলে মো. ফরহাদ হোসাইনের ৪ বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের বছর শেষ না হতেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। পরের বছর আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে কন্যা সন্তান হবে জেনে তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ার পরে স্বামী বা তার বাড়ি থেকে কেউ কোনো খোঁজ নিতে আসেনি। এ আবস্থায় মাহমুদা বাধ্য হয়ে দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির কর্মকর্তা কাজল দেবনাথের সহায়তায় স্বামীর বিরুদ্ধে দেনমোহর ও ভরণপোষণ বিষয়ক একটি পারিবারিক অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।
ইউএনও আরও জানান, পরবর্তীতে ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচি এডিআরের মাধ্যমে মাহমুদাকে তার দেনমোহর বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ভরণপোষণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা নগদ আদায় করে দেয়। এছাড়া মাহমুদার দুই কন্যা সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামীনিউজ/প্রভাত