টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লৌহজং নদীর ভাঙনে জামুর্কী ইউনিয়নের গুণটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙন ঠেকানো না গেলে ওই ভবনসহ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও ওই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি হুমকির মধ্যে পড়বে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
এলাকাবাসী জানায়, পাকুল্যা লাউহাটি সড়কের গুণটিয়া লৌহজং নদীর তীর ঘেঁষে গুণটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। এমনিতেই নদীর তীর ঘেঁষা হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়টি। তার ওপর প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে নদীর কিনারায় চলে মাটি কাটার মহোৎসব আর বর্ষা এলেই চলে অবৈধ বালি তোলার প্রতিযোগিতা।
বেশ কয়েক বছর ধরে মাটি ও বালি লুটেরাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ অবস্থায় দীর্ঘ সময় পর এ বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ওই বিদ্যালয়টি পানিতে নিমজ্জিত হয়। বন্যার পানি নামতেই শুরু হয় বিদ্যালয় ঘেঁষে নদী ভাঙন। ভাঙনের একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের একাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ভাঙন অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ভবনটি পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। হুমকিতে পড়বে পাশের নতুন ভবন এবং ওই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি।।
গুণটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব বলেন, প্রতি বছর ড্রেজার দিয়ে বালি তোলার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। যে কারণে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। আর সেই ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হচ্ছে এবং ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিরীন আক্তার বলেন, নদী ভাঙনের ফলে বিদ্যালয়ের একটি ভবন নদীতে বিলীন হওয়া শুরু হয়েছে। নতুন ভবনটি নিয়েও আমরা চিন্তিত।
এদিকে বুধবার ভাঙন কবলিত এলাকা এবং বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন।
আগামীনিউজ/আশা