হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গরে ৭ মাসের অন্তসত্বা জেসমিন আক্তারকে (১৯) যৌতুকের জন্য তার স্বামী হত্যা করেছে বলে দাবি করছেন নিহতের পিতা আছকির আলম। ঘটনার পর জেসমিনের স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানা যায় ওই গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে জুনাইদ মিয়ার (জুনু) সাথে ১০/১২ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয় আছকির আলমের মেয়ে রুশমিন আক্তারকে। বিয়ের পর তাদের একটি প্রতিবন্ধি ছেলে জন্ম নেয়। এর কয়েক বছর পর আরও একটি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে নবজাতকসহ রুশমিন আক্তার মারা যান। সে মারা যাওয়ার পর প্রতিবন্ধি ছেলেকে লালন পালনের জন্য আকছির আলম তার ২য় মেয়ে জেসমিনকে জুনাইদ মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে জুনাইদ ও তার পরিবার। একাধিকবার জুনাইদ মিয়া জেসমিনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে গ্রামের ময়-মুরব্বিরা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দেন।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় প্রতিবেশিদের কাছ থেকে জেসমিনের পিতা জানতে পান জেসমিন মারা গেছেন। পরদিন বুধবার সকালে সুজাতপুর ফাঁড়ির এসআই ওমর ফারুক লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন বিকালে জেসমিনের দাফন গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে নিহত জেসমিনের বাবা আকছির আলম বলেন- টাকার জন্য জুনাইদ মিয়া ও তার পরিবার লোকজন আমার মেয়েকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। ঘটনার পরই জুনাইদ ও তার পরিবারের লোকজন মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।