ভোলাঃ নিজস্ব ঠিকানা পেল নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো ভোলার চরফ্যাশনের চর কুকরি মুকরির ২৫০ পরিবার। নিশ্চিন্তে বসবাসের পরিবেশ, ঘরের সামনে বারান্দা, এক চিলতে উঠোন এ নিয়ে ঢালচর কুকরি মুকরি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের স্বস্তির জীবন। অথচ এক সময় এদের নিজস্ব ঘর ছিল না। ভাঙনের পর থাকত রাস্তার পাশে অন্যের বাড়িতে। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদের করেছে নিঃস্ব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন এসব নিঃস্ব পরিবারের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন বিশেষ উদ্যোগ 'আশ্রয়ণ প্রকল্প'।
জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় অন্তত তিন শতাধিক আবাসন রয়েছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণের দ্বীপ চর কুকরি মুকরিতে। কুকরি মুকরির বনের ধারে সারি সারি আবাসনের টিনের ঘর। ঘরের সামনে খোলা জায়গায় রয়েছে বিশাল দীঘি। ভাঙনের শিকার মানুষগুলো বসবাস করত অত্যন্ত মানবেতরভাবে। মাথার উপরে ঠিক মতো চাল পর্যন্ত ছিল না। ছিল না বসবাসের পরিবেশ। অভাবে পড়া সেই নিঃস্ব মানুষের জন্য এখন হয়েছে এক টুকরো মাথা গোজার ঠাঁই। বাঁধের পাশে বা অন্যের বাড়িতে এখন আর থাকতে হয় না তাদের।
আবাসনের সামনের খোলা জায়গায় শিশুরা মেতে উঠছে দুরন্তপনায়। বাড়ির বড়রা কেউ বুনছে সবজি, নিজের মতো সাজ্জাছে বাড়ি-ঘর। আবাসনের পরিবারগুলো জানায় মাথা গোজার ঠাঁই হলেও এখনো রয়েছে অনেক সংকট। এর মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার সংকটই বড়। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য নেই রাস্তা। তাই বই মাথায় নিয়ে খাল সাঁতরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। তারা আবাসনের কাছাকাছি একটি স্কুল চায়।
চর কুকরি মুকরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সুমী বেগম (৩৫) জানান, নদী ভাঙনের পর থাকার জায়গা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় ঘর পেয়ে অনেক সুবিধা হয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলার কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, বর্তমান সরকারের গুচ্ছগ্রাম আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে কুকরি-মুকরি ইউনিয়নে ২৫০টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে। হতদরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি করে ঘর পেয়ে এলাকার ছিন্নমূল মানুষ অনেক খুশি।
আগামীনিউজ/এএইচ