ঢাকাঃ রাজধানীর গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাস মিনিবাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে, নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রীও। তবে মানা হচ্ছে কেবল বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনাটি।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন বলছে পরিবহন মালিকরা শর্ত ভঙ্গ করায় অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা উচিত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে একটি আসন খালি রেখে গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনের কথা। বাসে উঠার সময় প্রত্যেক যাত্রীকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়ার নিয়মও আছে খাতা কলমে। গত ৩১ মে জারি করা ঐ প্রজ্ঞাপনের ঠিক উল্টো চিত্র এখন রাজধানীর রাস্তায়।
সতর্কতামূলক নির্দেশনা মানা না হলেও সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে ঠিকই ৬০ ভাগ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে গণপরিবহনগুলো।
বাসের হেলপার এবং ড্রাইভাররা জানান, অফিসের সময় থাকায় কাউকে আটকানো যায় না, সবাইকে না বললেও উঠে পড়েন। তারা বলেন, যারা পরিবার নিয়ে একই সিটে বসে যান তাদের কাছে কম টাকা নেয়া হয়।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, একটা টাকাও কম নেয়া হচ্ছে না। সিটে একজন বসার কথা থাকলেও দুই জন বসিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উলাহ জানান, বাসে যত সিট আছে ঠিক তত যাত্রী নেয়া যাবে এই সম্মতি যদি দেয়া হয় কেবিনেটের পক্ষ থেকে, তা হলে বাস মালিকরা আগের ভাড়ায় ফিরে যাবে। এতে করে যাত্রীদের উপর বেশি ভাড়ার চাপ পড়বে না এবং অনিয়মের অভিযোগ আসবে না।
সংক্রমণ রোধের বিষয়টি এখন গৌণ হয়ে পড়েছে। বাস মালিক সমিতির মহাসচিব বিধি নিষেধ তুলে দিয়ে আগের মতোই গাদাগাদি করে বাস চালানোর পক্ষে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান জানান, বাস মালিক, হেলপার এবং চালকরা যে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে এটা অনৈতিক। স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে মালিকরা বাস পরিচালনা করে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের সভাপতি মনে করেন শর্ত ভঙ্গ করায় পরিবহন মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দিক না ভেবে মহামারির সময়ে জনস্বাস্থ্যের দিকটিকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আগামীনিউজ/এএইচ