কথিত গরু চুরির মামলায়

মা-মেয়ের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৪, ২০২০, ০৪:০৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারঃ জেলার চকরিয়ায় কথিত গরু চুরি মামলায় মা ও দুই মেয়েকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।

আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, পটিয়া শান্তির হাট কুসুমপুর এলাকার পারভিন আক্তার, তার দুই মেয়ে সেলিনা আক্তার ও রোজিনা আক্তার।

চকরিয়া আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেটট ওমর ফারুক জানান, শুনানী শেষে মা ও দুই মেয়ের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালতের বিচারক।

এদিকে চকরিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে দুই মেয়ে, এক ছেলে ও মাসহ ৫ জনকে রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্যাতনের ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা নিয়েছে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। মামলাটি চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক রাজিব কুমার দেব। একই ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো: মতিউল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ওসি মো: হাবিবুর রহমান। এসময় তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা শুনেন।

চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো: মতিউল ইসলাম বলেন, চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে হারাবাংয়ের ভাইরাল হওয়ায় ঘটনায় জনস্বার্থে একটি মামলা নিয়েছেন। মামলাটি তাকে (চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের উক্ত নির্দেশনা পত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সনেট জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের দৃশ্যটি ভাইরাল হওয়ার পর তার দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি জানান, সংঘঠিত ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তন্মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ উপপরিচালককে একটি তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২১আগষ্ট হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনার পর ২৩ আগস্ট মা-মেয়ে ছেলেকে নিযার্তনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে। প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে, মা-মেয়েসহ ৫ জন চকরিয়া থানার ওসির দায়েরকৃত চুরির মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাদের আইনী সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি।

আগামীনিউজ/এএইচ