প্রায় ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকিতে সহযোগিতার মাধ্যমে আমদানি পণ্য চালান খালাস দেয়ার অভিযোগে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকির সহায়তায় দুই সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) কাস্টমস কর্মকর্তা বরখাস্ত ও লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবিহিত করা হয়েছে।
বরখাস্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন- বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ ও ইবনে নোমান। বাতিলকৃত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হলো বেনাপোলের মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও মাহিবি এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আলহামদুলিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৬৬৫ প্যাকেজ মোটরপার্টসসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে (যার কাস্টমস বি/ই নম্বর-১৪৮২৭ ও তারিখ ২৭.০২.২০)। চালানটি আমদানি হওয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে চালানে বড় ধরনের অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি রয়েছে। কিন্ত সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কৌশলে একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও দু’জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পণ্য চালানটি গোপনে খালাস করে।
একপর্যায়ে অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম টের পেয়ে চালানটির ৪ ট্রাক পণ্য আটকের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৩ রাজস্ব কর্মকর্তার সহযোগিতায় ট্রাকগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে সরকারের প্রায় ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়। পরবর্তী তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় ওই তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। সেই সাথে রাজস্ব ফঁকির মূলহোতা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও তার সহযোগি মাহিবি এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অনিয়ম বেড়ে যাওয়ায় পর তিন বছর ধরে এখান থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। সর্বশেষ গেল ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজস্ব ঘাটতি হয় ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আগামনিউজ/মনির/জেএফএস