কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিজিবি কর্তৃক দুই কলেজ ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রোববার(২৭ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রের পিতা আলহাজ্ব সৈয়দ জামান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রৌমারী উপজেলার বালিয়ামারী খেয়াঘাটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র মশফিকুর রহমান মামুন ও হেমায়েত উল্যাহ হিমুর সাথে গত দেড় মাস আগে বিজিবি’র এফএস সদস্য জসিম ও মামুনের সাথে কথাকাটি হয়।এরই জের ধরে গত ২২জুন মামুন ও হিমুকে রৌমারীর সায়দাবাদ এলাকা থেকে আটক করে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। এরপর ১৯৭পিচ ইয়াবা দিয়ে দুই কলেজ ছাত্রের নামে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।নির্দোষ পূত্র ও ভাতিজার নি:শর্ত মুক্তি চেয়েছেন নির্যাতিতদের পরিবার।
এ ব্যাপারে বিজিবি’র এফএফ জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি গত ৫দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পরে আছি। অভিযুক্তদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এমন ঘটনার অবতারণা করছে।
রৌমারী উপজেলার দায়িত্বে থাকা জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল এস এম আজাদ মুঠোফোনে জানান, মামলা তদন্তাধীনে রয়েছে। নিরাপরাধ ব্যক্তির যাতে ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। অবশ্যই নির্দোশ ব্যক্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা সবার কাম্য।'
আগামীনিউজ/জাহিদ/জেএস