নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী কিনে রাতের আঁধারে গ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র, খাদ্যহীন মানুষ খুঁজে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গত ২৭ মার্চ থেকে নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম একাই চালিয়ে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে অন্তত ২ হাজার পরিবার ও ৪৫০ জন উপকার ভোগীর মাঝে তিনি খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারস্থ খাদ্যসহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া অস্থায়ী কার্যালয়ে সেবাকার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহ রিয়াজ।
এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা কার্যক্রমের উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সেবা কার্যক্রমে পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক শাহ রিয়াজ জানান, ব্যাক্তি উদ্যোগে এমন কার্যক্রম অনুকরনীয়,অনুসরনীয়। জাতীয় এই দুর্যোগে তার মতো সমাজের বিত্তশালীদের খাদ্যহীনদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি। এ কাজের সাথে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী আমিরুল ইসলাম জানান-সময়, মেধা, শ্রম দিয়ে দুঃস্থ্য, অসহায় মানুষের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরে আমি গর্বিত। সবাই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে কাজ করলে এ মহা সংকট থেকে আমরা দ্রুত মুক্তি লাভ করবো।
উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেনের জানান, সরকারী দায়িত্ব পালনের পাশাপশি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করেছি উপজেলার কেন্দ্র থেকে গ্রামের সাধারন মানুষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার প্রকৃয়া যথেষ্ট নয়। এ কারনে আমি ব্যাক্তি উদ্যোগে বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় প্রচারনা ও খাদ্যহীনে খাদ্যসামগ্রী পৌছাতে স্বেচ্ছাসেবী ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছি। তারা জনগনকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেমন সচেতন করছে,তেমনি খাদ্যহীন মানুষ খুজে বাড়িতে খাদ্য পৌছে দিতে কাজ করছে। করোনা প্রাদুর্ভাব যতদিন থাকবে ততদিন প্রকৃত খাদ্যহীন মানুষের পাশে থেকে আমি ও আমার স্বেছ্ছাসেবী কমিটি কাজ করবো।
আগামী নিউজ/ সাজ্জাদ/ তাওসিফ