বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। এরই মধ্যে বিমান ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। কক্সবাজারে আসা-যাওয়া করা দেশি-বিদেশি সকল যাত্রীকে এই থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করছেন মেডিকেল টিমের সদস্যরা। প্রয়োজনে মেডিকেল টিম বাড়ানোর কথাও বলছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, করোনা মোকাবেলায় সারাদেশের মতো পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তারই অংশ হিসেবে বিমান ও টেকনাফ স্থলবন্দরে জোরদার রয়েছে মেডিকেল টিম। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।
গতকাল বিকালে বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে করোনাভাইরাস শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানারের সংখ্যা বাড়ানো, সচেতনমূলক প্রচারণা বৃদ্ধি ও হাসপাতালে সেবা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান জেলা প্রশাসক। এছাড়া করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বিমান ও স্থলবন্দরে ২৪ ঘণ্টা মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, ১৩টি ফ্লাইটে কক্সবাজারে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজারেরও বেশি যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এর মধ্যে ৩০-৩৫ জন থাকে বিদেশি যাত্রী। সব যাত্রীকেই থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন জানান, এই স্থলবন্দরে তেমন কোনো যাত্রী আসা-যাওয়া না করলেও পাশের দেশের শ্রমিকরা যাতায়াত করে। তাদেরও থার্মাল স্ক্যানের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন মেডিকেল টিমের সদস্যরা।
আগামীনিউজ/হাসি