সৈয়দপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেই প্রস্তুতি

আগামীনিউজ প্রতিবেদক মার্চ ১১, ২০২০, ০৩:৫০ পিএম

নীলফামারী : ‘নভেল করোনাভাইরাস’ প্রতিরোধে এখনো তেমন প্রস্তুতি নেয়া হয়নি নীলফামারীর সৈয়দপুরে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। 

এদিকে, গত ২৯ জানুয়ারি সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট গঠন এবং গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ও আক্রান্তদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কোভিড-৯ ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হচ্ছে, যদি করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে তাৎক্ষণিক তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা। 

সৈয়দপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরিফুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে করোনাভাইরাস কর্নার গঠন করা ও বর্তমানে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচ তলায় ৭ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ইউনিট থাকলেও প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে। হাসপাতালে মাস্ক, গাউন ও অন্য সামগ্রীর সংকট রয়েছে। তবে করোনা প্রতিরোধে ৪ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই সৈয়দপুরে এসব প্রস্তুতি খুবই অপ্রতুল বলে জানান তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরটি ব্যবহার করছেন দেশি-বিদেশি দেড় হাজারেরও বেশি যাত্রী। এখানে প্রতিদিন ১১টি উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করে। বিপুল সংখ্যক বিদেশি যাত্রীও ব্যবহার করে থাকেন সৈয়দপুরের আকাশপথ। এ এলাকায় উত্তরা ইপিজেড, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও কয়েকটি স্থাপনায় প্রায় দুই হাজার চীনা নাগরিক কাজ করেন।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, যেহেতু সৈয়দপুর বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করছে, তাই যারা ঢাকা থেকে আসছেন তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া সেরেই আসছেন এবং যারা এখান থেকে যাচ্ছেন তাদেরও সেখানে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাছাড়া আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। নিদের্শনা পেলেই তা আজ-কালের মধ্যে হতে পারে।

আগামীনিউজ/হাসি