রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিশটি জেলা থেকে প্রায় তিন লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দেশের জেলাতেও মানব পাচারের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মানব পাচার রোধে করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর প্রকল্প প্রধান মোমেনুল হক মোমেন।
তিনি বলেন, ‘পাচারকারীরা ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এই অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে বাহিরের দেশে নিয়ে দালালদের হাতে মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের তুলে দেয়া হয়।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রাফিকিং ইন পারসন শীর্ষক রিপোর্টের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় আট লাখ মানুষ পাচার হচ্ছে। মানব পাচারে ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৭টি দেশের সূচকে বাংলাদেশ বর্তমানে নজরদারিতে দ্বিতীয়তে রয়েছে। পাচারের শিকার নারীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোতে পতিতাবৃত্তির কাজে নিয়োগ করেছে। এছাড়াও অনেক নারী, শিশু ও পুরুষদের যৌন শোষণ, গৃহ দাসত্ব ও উটের জকি হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন- নারী মৈত্রীর লিগ্যাল অ্যাডভাইজর আইনজীবী গোলাম মাওলা চৌধুরী, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ।
আগামীনিউজ/হাসি