বিয়ে করার উদ্দেশে মাত্র কদিন আগেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে এসেছেন ইমন খান। বেশ ঘটা করেই চলছিল কনে দেখার আয়োজন। বিয়ে অনেকটা পাকাপোক্তও হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের বাদ্য বাজার আগেই থেমে গেল সব। হবু স্ত্রীকে আর আংটি পরানো হলো না ইমনের। হবু শ্বশুরবাড়ি পৌঁছানোর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলে ইমনসহ পরিবারের ৯ জনের।
ইমনের স্থায়ী ঠিকানা বরিশালে। কিন্তু থাকতেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। সেখান থেকে স্বজনদের নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন হবু কনেকে আংটি পরাতে।
নিহত ৯ জনের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ইমন খান, তার বাবা আব্বাস উদ্দিন, আত্মীয় রাজীব, মহসিন, রাব্বী, আসমা, ইমরান ও সুমনা। এদের মধ্যে সুমনা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকিরা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে পুলিশকে জানিয়েছেন ইমনের বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। হবু কনেকে আংটি পরাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
তিনি আরও জানান, লাশগুলো শেরপুর হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নিহতদের স্বজনরা নবীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা এলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কান্দিরগাঁও এলাকায় রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। দুর্ঘটনায় ৮ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর একজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পালসহ কর্মকর্তারা।
আগামীনিউজ/নুসরাত