পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ায় এক গৃহবধূকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। ভুক্তভোগী মরিয়াম (১৬) উপজেলার উদয়তারা বুড়িরচরের গ্রামের সৌদি প্রবাসী সিদ্দিক হাওলাদারের মেয়ে।
মরিয়ামের মা সালমা বেগম জানান, আমার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে পাশ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার জুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ট্রাক চালক মন্টু চৌকিদারের পুত্র এখলাস হোসেন (২৫) জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তাদের সখ্যতা থাকার কারনে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি।
বর্তমানে আমার মেয়ে মরিয়াম এসএসসি পরীক্ষার্থী। দাম্পত্য জীবনে তার গর্ভে ১ টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সংসার জীবনে বছরখানে ভালো কাটার পর ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে মরিয়ামের স্বামী এখলাস ও শ্বশুর মন্টু চৌকিদার, শাশুড়ী আকলিমা বেগম চাঁপ দিতে থাকে। প্রায় সময়ই আমার মেয়েকে মারধর করে আসছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি মরিয়ামকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মারধর করে।
যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মরিয়ামকে বেধরক মারপিট করে দেড় বছরের শিশু আব্দুল্লাকে কেড়ে রেখে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে চালক মন্টু চৌকিদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কটুক্তি করেন এবং একজন সম্ভ্রান্ত নেতার পরিচয় দিয়ে বলেন আমি তার গাড়ি চালাই।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামীনিউজ/তামিম