লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী দুই মাস হাটে ইলিশ উঠবে না। শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞার আগের রাতে হাজিরহাট মাছ বাজার ছিল ইলিশের দখলে।
ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ইলিশ হাটে থাকায় যার যার চাহিদা মতো ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে বেচা-বিক্রি।
হাজিরহাটে এক কেজি দুইশ গ্রাম ওজনের প্রতি ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়। তিনদিন আগে ওই সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ছয়শ ৫০ থেকে সাতশ টাকায়। এক হালি (দুই কেজি ছয়শ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে এক হাজার সাতশ টাকায়। দুইদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।
রোববার (০১ মার্চ) সকালে জেলার রামগতি রায়পুর কমলনগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় হাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে না। হাটে নদীর কোনো মাছ নেই। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই, কাতলসহ চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে।
বছরের মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনায় জাটকাসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের বিচরণ থাকে। সবচাইতে বেশি বিচরণ থাকে জাটকার। আর এ কারণে মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময় বাজারে নদীর মাছ মিলবে না তাই শেষ মুহূর্তে ইলিশের হাটে ছিল ভিড়।
আগামীনিউজ/মাসুম