পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর দেশের পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। সাতক্ষীরার বাজারগুলোতে সর্বোচ্চ ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর রোববার (১ মার্চ) থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করবেন বলে সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এদিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরই ৩০ টাকা কেজিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ সাতক্ষীরার বড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা প্রতিকেজি। গত চারদিন আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। পেঁয়াজের সঙ্গে কমেছে রসুনের দামও। বর্তমানে রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতিকেজি। কয়েকদিন আগেও এই রসুন বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকায়।
সাতক্ষীরার বড় বাজারের পাইকারি কাঁচামাল ব্যবসায়ী আজিজ মোল্লা বলেন, বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের মূল্য কমেছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের মূল্য (ভারতীয় বীজ) ৪৫-৫০ টাকা। আর দেশি বীজের পেঁয়াজের মূল্য প্রতিকেজি ৫৫-৬০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায় প্রতিকেজি।
পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বড় বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সাইফুল্লাহ্। তিনি বলেন, ১৫-২০ টাকার প্রতিকেজি পেঁয়াজ ক্রয় করতে হয়েছে ২০০-২৫০ টাকায়। বর্তমানে ৪৫-৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সংগঠণ সাতক্ষীরার ভোমরা সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ইতোমধ্যে পেঁয়াজ রফতানি ওপর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য এসসি করেছেন।
আগামীনিউজ/হাসি