নবীগঞ্জ পৌর শহর যেন এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ছে। এতে স্বাভাবিক সুস্থ্য পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পচাঁ দূর্গন্ধে ঘটছে বায়ু দূষণ, স্বাস্থ্য ঝূঁকিতে আছেন পৌরবাসী।
শহরবাসীর অভিযোগ, নবীগঞ্জ পৌর কর্তপক্ষের দায়িত্ব অবহেলা ও উদাসিনতার কারনে শহরের বিভিন্ন প্রাণকেন্দ্রে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ফেলে দিচ্ছে ময়লা আবর্জনা। যা দিনের পর দিন স্তুপ হিসেবে জমা থাকে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী, বাসা বাড়ির লোকজন।
এনিয়ে একাধিকবার পৌর কৃর্তপক্ষকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগি জনগণ। এ সমস্যা সমধানে পৌর মেয়রের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ওসমানী রোড টেকাদিঘী মার্কেটের সামনে জেকে স্কুল মার্কেট ও দারুল উলুম মাদ্রাসার মধ্যস্থানে খালি অংশে হাসপাতাল সড়কের সিএনজি স্ট্যান্ড ও হীরা মিয়া গালর্স হাই স্কুলের বাইপাস সড়কের সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা-আবর্জনা, পচা বাসী খাবারের দুর্গন্ধযুক্ত স্তপ। এর কারণে শহরের সুস্থ পরিবেশর বিনষ্ট হচ্ছে। সর্বত্র পঁচা দুর্গন্ধের চিত্র। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে উপরোল্লেখিত স্থানে ফেলে চলে যায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
পৌরবাসীর অভিযোগ, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে। এনিয়ে পরিকল্পনার করা দরকার। তা না হলে শহর যেমন অপরিচ্ছন্ন হবে, তেমনি মানুষের শরীরেও নানা রোগ বাসা বাধঁবে।
এদিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা আবর্জনা ফেলে যাওয়ার পর টোকাই ও কুকুরের নাড়াচাড়ায় দুর্গন্ধ আরো চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে রাত্রে বেলা। সকালে দেখা যায় কাক, বিড়ালসহ শহরের টোকাইরা ময়লা আবর্জনা নাড়াচাড়া করছে, যার ফলে দুর্গন্ধ চরমে পৌছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের নাক ঢেকে শ্বাস বন্ধ করে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় শহরে বসবাসরত বাসা বাড়ীর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানের লোকজন পরিবেশ দূষণের কারণে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
নবীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র এ টি এম সালাম বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত ময়লার স্তুপ সমস্যা নিরসনের জন্য গয়াহরি এলাকায় প্রবাসী কমিউনিটি লিডার ফুল মিয়ার দানকৃত ৪০ শতক জায়গায় ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান নির্মান করা হচ্ছে। নির্মান কাজ শেষ হলে খুব শ্রীঘই এ সমস্যা থেকে পৌরবাসী মুক্তি পাবেন।
আগামীনিউজ/শাহ আলম/মাসুম