ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সে চলছে ইটভাটা

রাকিব হাসান ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, ০২:৩৯ পিএম

পাবনা জেলার চাটমোহরে ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে দুইটি ইটভাটা। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে ইটভাটা দুটি।

উপজেলার ধুলাউড়ি ও গুনাইগাছা এলাকায় সিটিবি-১ ও সিটিবি-২ নামের এ ইটভাটা দুটি পরিচালনা করছেন ধুলাউড়ি গ্রামের বেল্লালের ছেলে আবদুল খালেক।

জেলা প্রশাসকের দপ্তরের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ভাটা দুটি কিভাবে চলছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। ইটভাটা দুটি বন্ধে ও পরিচালনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিতে পাবনা জেলা প্রশাসকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আবাসিক এলাকার অদুরে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা দুটি। অসংখ্য বনজ ও ফলজ গাছ রয়েছে ভাটার অদুরে। গুনাইগাছার ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে আঞ্চলিক সড়কের সাথেই। অবৈধভাবে খনন করা পুকুর থেকে আনা হচ্ছে ইটের কাচাঁমাল মাটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, ইট পোড়ানার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ফসলের উপর। কমে গেছে উৎপাদন। এ নিয়ে কৃষকদের মনে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। অথচ সংশ্লিষ্ট আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা করা যাবে না। জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে নেয়া ইটভাটা সংক্রান্ত লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা করা যাবে না। আবাসিক ও ফসলি মাঠে ইটভাটা করা যাবে না। দুই কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টি ফলজ বা বনজ গাছের চারা থাকলে ইটভাটা করা যাবে না। মসজিদ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি ইটভাটা করা যাবে না।

গুনাইগাছার থাকা সিটিবি-২ ইটভাটাটি এসব বিধানের বেশিরভাগই লঙ্ঘন করছে। আইন লঙ্ঘনে পিছিয়ে নেই ধুলাউড়ি এলাকায় থাকা সিটিবি-১ ইটভাটাটিও। এর আগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা গুনে পার পেয়ে যায় ইটভাটা পরিচালনার সঙ্গে জড়িতরা।

ইটভাটা দুটি পরিচালনার সাথে জড়িত আবদুল খালেক বলেন, আমি ছোট মানুষ। এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারব না।

আগামীনিউজ/রাকিব/মাসুম