ফারুক হত্যার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম

টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের ফাঁসির দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ সুমন মজিদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তারা বলেন, এ হত্যার বিচার কাজ ১১ বছরেও শেষ হয়নি। মামলার শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি রয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ এলেই কারাগারে থাকা কোন আসামী 'অসুস্থ' হয়ে পড়েন। তাই আদালতে আনা হয় না। আবার আসামী এলেও তদন্ত কর্মকর্তা আসেন না। এ কারনে পিছিয়ে যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচার কাজ। তারা অবিলম্বে ফারুক হত্যার বিচারের দাবি জানান।

মামলাল নথি থেকে জানাযায়, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালিন সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকান্ডে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালিন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালিন সহ-সভাপতি ছানিয়াত খান বাপ্পা'র জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান'রা চার ভাইসহ ১৪জনকে আসামী করা হয়।

এই মামলার আসামী আমানুর রহমান খান রানা আত্মসর্মপনের পর তিন বছর কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার অপর ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি এখনও কারাগারে আছেন। অন্য দুই ভাই জাহিদুর কাকন, সানিয়াত খান বাপ্পা পলাতক রয়েছে।

 

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/এমআইসি