গুচ্ছ ভর্তি, এবছর ইবিতে আবেদন কমেছে ১৫ হাজার

ইবি প্রতিনিধি জুলাই ৬, ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম
ফাইল ছবি

কুষ্টিয়াঃ স্নাতক প্রথম বর্ষের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তির জন্য তিন ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন ২৭ হাজার ৩৪৩ জন ভর্তিচ্ছু। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩২টি বিভাগে ২ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৩ জন প্রার্থী। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটি সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ইবিতে ৪২ হাজার ৪২৯ ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। সেই হিসেবে এ বছর আবেদন কমেছে ১৫ হাজার ৮৬ জন (৩৫ শতাংশ)।

তথ্য মতে, এবছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৭০টি (মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগসহ), ‘বি’ ইউনিট অর্থাৎ মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬৪২টি (বাণিজ্যসহ), ‘সি’ ইউনিট অর্থাৎ বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৩৮টি (মানবিকসহ) আসন বরাদ্দ রয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুন শুরু হয়ে ২৭ জুন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদন ও বিষয় পছন্দক্রম শেষ হয়। এতে সর্বোচ্চ আবেদন পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২৯ হাজার ৯৮৯ জন।

প্রসঙ্গত, গুচ্ছের নানা ভোগান্তির কথা মাখায় রেখে গত ১২ই এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে ১৩ এপ্রিল পরীক্ষা কমিটির সভায় ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত শেষে ওয়েবসাইটে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ১৫ এপ্রিল গুচ্ছে থাকা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার প্রতি সম্মান জানিয়ে পরবর্তীতে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইবি। একইসঙ্গে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়। এ বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়বারের মত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সময়ক্ষেপণ রোধে তিনটি ধাপেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে জুলাই কিংবা আগস্টেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ/এমআইসি