দুই দফা দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

জাবি প্রতিনিধি জুন ৮, ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ বৈধ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য সিট নিশ্চিতসহ দুই দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় জাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা দুই দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবি গুলো হলোঃ প্রত্যয়ের দেওয়া ৩০ দিনের সময়সীমার মধ্যে মীর মশাররফ হোসেন হল সহ সকল হলের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উৎখাত করতে হবে এবং সকল বৈধ শিক্ষার্থীর প্রপ্য সিট নিশ্চিত করে গণরুম প্রথা বাতিল করতে হবে ও আগামী সোমবারের (১২ জুন) মধ্যে হমলাকারী ছাত্রদের সনাক্ত করে বহিষ্কার করতে হবে, একইসাথে হামলাকারীদের মধ্যে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিরূদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করতে হবে।

 

জাবির সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচীর সভাপতিত্বে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রত্যয় তার দাবির প্রেক্ষিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টকে ৩০ দিনের সময় দিয়েছে এবং অনাদায়ে প্রভোস্ট পদত্যাগ করবেন মর্মে স্বাক্ষর করেছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে গণরুম-গেস্টরুম অনাচারের বিরুদ্ধে, সিট সংকট এবং বৈধ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য সিটের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি যার প্রেক্ষিতে প্রত্যয়ের দাবির সাথে আমাদের পূর্ণ সমর্থন ছিল।

 

তিনি আরও বলেন, গত ৬ জুন অনশনরত প্রত্যয় এবং তার সাথে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ, নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা এবং জাবির সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি শৌমিক বাগচীর উপর হামলা হয়। হামলার শিকার শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং গণ মাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে হামলাকারীদের যে তালিকা আমরা প্রশাসনকে প্রদান করেছি তার প্রেক্ষিতে শৃংখলা কমিটির মিটিং শেষে আমাদের যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাতে আমরা আশ্বস্ত নই।

 

আশ্বস্ত কেনো নয়? সাংবাদিকিদের এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, আমরা জেনেছি শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের সাথে মিটিং করেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের এই পেটুয়া বাহিনী হামলায় জড়িতদের যেন শোকজ না করা হয় সেজন্য হুমকি দিয়েছে। আমরা আরো জেনেছি উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধানে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি ছাত্রলীগের সহযোগিতা চেয়েছেন এবং অনশনকারী শিক্ষার্থীকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেছেন।  যেখানে প্রশাসনের একটা অংশ ছাত্র সংগঠনের সহায়তা চায়, তাদের ভয় পায় সেখানে তাদের এহেন আশ্বাস শুধুই ফাঁকা বুলি।

 

জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, অনশনরত প্রত্যয় এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং পরবর্তীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়া, প্রক্টরের দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলাই প্রমাণ করে। যা লজ্জাজনক।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনজ কান্তি, জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফার রহমান নবীন, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী স্রোত প্রমুখ।

 

সৈকত ইসলাম/এমআইসি