শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০৩:৫২ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সমর্থনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘শাবিপ্রবির সাথে ঢাবির সংহতি’ ব্যানারে সকাল ১০টা থেকে অবস্থান করছেন তারা।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারসহ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সব দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে তারা ঘোষণা দেন।

দলের নেতৃত্বে থাকা ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত সাদ বলেন, "শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা গত তিনদিন ধরে ভিসি ফরিদ উদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন। এই ভিসি হচ্ছেন সেই ভিসি যিনি ক্যাম্পাসে পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, একইসঙ্গে ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করেছে। এমনকি সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলা করেছে। এভাবে হামলা আমাদের দেশের ইতিহাসে কমই হয়েছে। একাত্তরের আগে পাকিস্তানি শাসকরা এটি করতো এবং আশির দশকে স্বৈরাচারী এরশাদ এটা করতো৷ বর্তমান সরকারের সময়ে আমরা এটি দেখলাম। তাই শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে অবস্থান করছি। আমরা দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করব।"

দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন জানিয়ে সাদ আরও বলেন, আজকে আমরা  অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

অবস্থান কর্মসূচি পালনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—ফাইন্যান্স বিভাগের জাবির আহমেদ জুবেল, আইন বিভাগের কাজী রাকিব, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের জেসান অর্ক মারান্ডি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান মোজাম্মেল।

শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই হলের ছাত্রীদের মাধ্যমে সূচনা হয় আন্দোলনের। গত শনিবার আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন।

হলের প্রভোস্টের অপসারণ, অব্যবস্থপনা দূর, ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে পরদিন রোববার সকল শিক্ষার্থী আন্দোলনে সামিল হন। সেদিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাকে মুক্ত করতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ, এসময় শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়া হয়। সংঘর্ষ হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

আগামীনিউজ/বুরহান