‘কোভিডোত্তর পৃথিবীতে টেকসই উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে কুইজ প্রতিযোগীতা, বিতর্ক, র্যালী ও আলোচনা সভার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রবেশগম্য ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ফিজিক্যালী চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে পিডিএফের সদস্যরা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়াম থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়।
ভার্চ্যুয়ালী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পিডিএফের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই আমি পিডিএফের সাথে আছি। এর পাশাপাশি প্রতিযথশা বিজ্ঞানী অধ্যাপক এ এ মামুন ও এর পেছনে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। এখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এটি অনেকটা পথ হেঁটে এসেছে। আশা করি আর ফিরে তাকাতে হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংক এশিয়া হেমায়েতপুর শাখার ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অবদান অনস্বীকার্য। আমরা তাদের উন্নয়নে অংশ নিতে পেরে গর্ববোধ করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তাদের উন্নয়ন করাও জরুরি। কেবল সবার অংশগ্রহণে তা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে পিডিএফ জাবি শাখার সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এস কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিবন্ধী মানেই প্রতিভাবন্ধী নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার বঞ্চিত হওয়ার মূলে রয়েছে পরিবার সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য। যেখানে, বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে দেশের প্রায় ৮-১০ ভাগ মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার সেখানে তাদের কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা এখন ভাববার সময় হয়েছে। এই ৮-১০ ভাগ মানুষকে দূরে রেখে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব বলেও তিনি প্রশ্ন রাখেন।'
পিডিএফের সাধারণ সম্পাদক তমালিকা তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন, ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন এর অধ্যাপক আইরিন আখতার, সহকারি অধ্যাপক তাহিরা ফারজানা ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেন প্রমুখ।
আগামীনিউজ/ হাসান