জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংস্কৃতিক জোট মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মৌন মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে 'কালো দিবস' পালন করেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন 'ধ্বনি'র অফিস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা স্মরণে এ আয়োজন করেন তারা।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয় হয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে শেষ হয়। তারপরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কালো দিবস পালন সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান মুঃ শাহরিয়ার বলেন, তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে যেই দুর্বৃত্তায়ন সংঘটিত হয়েছিলো, সেই ভস্মীভূত ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো আবারও উঠে দাঁড়িয়েছে ধ্বনিসহ জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে স্বীয় আদর্শে আমরা আবার বলীয়ান হয়ে উঠেছি। মেরুদণ্ড টানটান করে দৃপ্ত কন্ঠে আওয়াজ তুলেছি সকল অন্যায় ও অসংগতির বিরুদ্ধে। আমরা হেরে যেতে শিখিনি"।
সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দিপঙ্ককর চক্রবর্তী দ্বীপ বলেন, তৎকালীন ভিসির বিরুদ্ধে গড়া আন্দোলন দমাতে প্রশাসন যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, সেই ক্ষত আমাদের শক্তি যোগায়। মুক্তিযুদ্ধে যেমন সাংস্কৃতিক কর্মীদের হত্যা করে আন্দোলন থামাতে চেয়েছিল অপশক্তি একই ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সেই কূটকৌশল অবলম্বন করেছিল। কিন্তু আমরা দমে যাইনি। আমাদের হাতিয়ার আমাদের কন্ঠ। যা থামবার নয়'।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীক বাগচি, চারন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মৌন মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের এই দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন ‘ধ্বনি’র কক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা । এর পর থেকে প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আগামীনিউজ/বুরহান