চমেকের ৩০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ক্যাম্পাস খুলছে ২৭ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৩, ২০২১, ০৪:১০ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামঃ মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানটি আগামী ২৭ নভেম্বর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহেনা আক্তার।

তিনি বলেন, ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮ জনকে দুই বছর, দুজনকে দেড় বছর ও ২০ জনকে এক বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। তারা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও তারা তা করেছে। এছাড়া নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসব কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কলেজে সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রীদের হল খুলে দেওয়া হবে। ছাত্রদের হল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ছেলেদের হলের সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে হল খোলা হবে। এর জন্য আবেদন করতে হবে। কলেজ খোলা থাকলেও ছেলেদের হল বন্ধ থাকবে।

প্রতিবেদনে সংঘর্ষের নেপথ্যে কী উল্লেখ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চমেকে সংঘর্ষের নেপথ্যে একমাত্র আধিপত্য বিস্তারকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। এর বাইরে তারা কিছু মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৯ অক্টোবর চমেকের প্রধান ছাত্রাবাস এবং ৩০ অক্টোবর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে চমেক ক্যাম্পাসের পাশে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মাহদী জে আকিব নামে দ্বিতীয়বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার মাথার ব্যান্ডেজে ‘মাথায় হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ এমন একটি লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোড়ন সৃষ্টি করে। এসব ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য চমেক বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ।

একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সাত কার্যদিবস সময় দেয়া হয়। এরপর সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। রোববার ছিল প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন। তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যাচ্ছে না এমন কারণ দেখিয়ে প্রতিবেদন জমার তারিখ বুধবার পর্যন্ত করা হয়। তবে প্রতিবেদন সোমবারই জমা পড়ে।

আগামীনিউজ/বুরহান