জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকতে পারবে না।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৭ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বছর ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তাদের আত্মীয়-স্বজন অথবা বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করতে পারবে না। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে সালিউর রহমান নামে দিনাজপুরের এক ভর্তি পরীক্ষার্থী বলেন, “ঢাকায় সবার তো আর পরিচিত বা আত্নীয় স্বজন নাই। এক দিকে পরীক্ষার চাপ, অন্য দিকে কোথায় থাকব এসব নিয়ে টেনশন করাটা ঝামেলার”।
কুড়িগ্রামের এক ভর্তিচ্ছু মোস্তাফিজুর শাকিল বলেন, “অনেক আগ থেকেই ভেবে রাখছি হলে এলাকার এক বড় ভাইয়ের কাছে থাকবো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। কিভাবে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না”।
জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, “ভর্তিচ্ছুদের হলে রাখলে করোনা ঝুকি আছে এটা সত্য, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় এই বিশাল সংখ্যক ভতিচ্ছুদের বাইরে থেকে পরীক্ষা দেওয়াটা অসম্ভব। আবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেক পরীক্ষার্থী বিশেষ করে মেয়ে পরীক্ষার্থী হয়ত পরীক্ষা দিতেই আসবে না, প্রশাসনের উচিত ছিল পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরেই নেওয়া। এটা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা”।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি হবে তা ঠিক কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সময় মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাবে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা ভর্তিচ্ছুদের হলে উঠিয়ে এই রিস্ক নিতে চাই না। আমাদের শির্ক্ষাথীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ”।
আগামীনিউজ/ হাসান