ঢাকাঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটুকরো স্বস্তির জায়গা।সারাদিন ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লান্তি দূর করতে ছুটে আসে এখানেই,খেলা পাগল শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে মাঠটি।কেউ ব্যাট হাতে কেউবা ফুটবল পায়ে গড়িয়ে ছুটতে থাকে মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
খেলাধুলার মধ্যেই মানুষ খুঁজে পায় জীবন বিকাশের উন্মুক্ত বিশালতা, পায় জীবনসংগ্রামের দুর্জয় মনোভাব। লাভ করে সাফল্য উচ্ছ্বাস ও পরাজয়ের গ্লানিকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার দুর্লভ মানসিকতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদের শরীর-মন সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে এই খেলার মাঠের ভূমিকা অনন্য।
মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো উন্মুক্ত জায়গা হিসেবে খেলার মাঠের বিকল্প খুজে পাওয়া দুষ্কর, তাইতো শিক্ষার্থীরা সারাদিন ক্লাস,পরীক্ষা শেষে ছুটে আসে একঘেয়েমি দূর করতে।
শুধু খেলাপ্রেমী শিক্ষার্থীরাই নয় মাঠের চতুঃপার্শ্বে দলবেঁধে আড্ডা দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
খেলাধুলা, আড্ডা, হৈ হুল্লুর শেষে গোধূলীলগ্নে খাবার সংগ্রহের পর নীড়ে ফেরা পাখিদের মত শিক্ষার্থীরাও ঘরে ফিরে নতুন উদ্দীপনা নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মাঠে শুধু ছেলেরা নয় বিকেলে একটু অবসরে মেয়েদেরও দেখা যায় মাঠের এক প্রান্তে।ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল সহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় ভরে উঠে মাঠের প্রতিটি প্রান্ত।
সন্ধ্যার পরও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচঞ্চল থাকে মাঠটি,বন্ধুবান্ধব মিলে গলা ছেড়ে গানের আওয়াজ ভেসে আসে এখান থেকেই।
শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব রায়হান বলেন,
"কেন্দ্রীয় এই খেলার মাঠটি শিক্ষার্থীদের অবসর কাটানোর নিরাপদ স্থান,কংক্রিটের জঞ্জালের ভীরে প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার একমাত্র জায়গা হচ্ছে এটি,তবে এই মাঠটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, সংস্কারের অভাবে সম্পূর্ণ মাঠ আমরা ব্যবহার করতে পারছিনা,যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী খেলার জন্য জায়গা পায় না।"
শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে মাঠটি সম্পূর্ণ ব্যবহার উপযোগী করে তোলা এখন সকল শিক্ষার্থীর দাবী।
নাঈম আজাদ/এমআইসি